সঙ্গীতশিল্পী-সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ভারতে এক আদালত। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ৯ অগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল মমতাজের। এর একদিন আগে ৮ অগস্ট বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজের মামলার চার্জ গঠন করা হবে।
সেই দিন মমতাজ উপস্থিত না হলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। এর পর মমতাজ তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে একটি আবেদনপত্র আদালতে দাখিল করে জানান, ওই তারিখে তিনি কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন। ফলে তাঁর পক্ষে আদালতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হবে না। মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওই আবেদন খারিজ করে দিয়ে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতের মুর্শিদাবাদে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তা শক্তিশঙ্কর বাগচীর সঙ্গে মমতাজ বেগমের লিখিত চুক্তি হয়। সেই চুক্তি মোতাবেক শক্তিশঙ্করের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত অংশ নিতেন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৪ লাখ টাকায় মুর্শিদাবাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তিনি অগ্রিম টাকাও গ্রহণ করেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত উপস্থিত হতে পারেননি মমতাজ। এর পরেই শক্তিশঙ্কর চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর ভিত্তিতে আদালত পরবর্তী সময়ে সমন জারি করে। অভিযোগ রয়েছে, মমতাজ আদালতের নির্দেশ এড়িয়ে যান। এই মামলায় মমতাজের বিরুদ্ধে এর আগে তিন বার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
এর পর সঙ্গীতশিল্পী মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন।
আনন্দবাজার বলছে, কলকাতার উচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেন। এবার বহরমপুর আদালতের নির্দেশ মোতাবেক, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মমতাজকে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। তবে মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত জানান, তাঁর মক্কেল আদালতের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।
সূত্র: আনন্দবাজার