ভোলার গ্যাস ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলে রাখার দাবি ওঠেছে। ভোলার গ্যাস দিয়ে দক্ষিণ বঙ্গের উন্নয়ন করতে হবে। ভোলার ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে। ভোলার গ্যাস ব্যবহার করে ভোলাতে শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে হবে। এসব দাবি ভোলাসহ দক্ষিণ বঙ্গের মানুষের মুখে মুখে শুনতে পাওয়া যায়।
ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোকে বঞ্চিত করে ভোলার গ্যাস ঢাকার শিল্পাঞ্চলে সরবরাহ করার চুক্তি বাতিলের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায়ে দক্ষিণ বঙ্গের প্রতিটি জেলায় নাগরিক কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী কাল মঙ্গলবার ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় ভোলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করা হবে। ভোলার গ্যাস রক্ষায় গঠিত ‘দক্ষিণাঞ্চলের নাগরিক আন্দোলন’র ব্যানারে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এই অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে ভোলাবাসীকে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ‘দক্ষিণাঞ্চলের নাগরিক আন্দোলন’-এর আহ্বায়ক মোবাশ্বের উল্লাহ চৌধুরী।
নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ জানান, ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় ভোলাবাসীর দাবি বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। উক্ত কর্মসূচিতে ভোলার সর্বস্তরের মানুষকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, ভোলাবাসীকে বঞ্চিত করে ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রীডে নিতে দেওয়া হবে না। ভোলার প্রতিটি ঘরে ঘরে গৃহস্থলী কাজে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে। এছাড়াও ভোলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মেডিকেল কলেজ, ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মানসহ ভোলায় গ্যাস ভিত্তিক শিল্পকারখান গড়ে তুলতে হবে। ভোলাবাসীর এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ভোলার গ্যাস অন্যত্র নিতে দেওয়া হবে না। দাবি আদায়ে আরো কঠোর কর্মসূচি দিবে বলে জানিয়েছেন নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
ভোলার সাংবাদিক এম শাহরিয়ার জিলন বলেন, ভোলাতে কারখানা করতে হবে। ভোলার গ্যাসে দক্ষিণ বঙ্গের উন্নয়ন করতে হবে। তাতে বেকার সমস্যা দূর হবে। আন্দোলন সফল করা সকলের কর্তব্য। দাবি পূরণে সরকারের দৃষ্টি কামনা করি।